রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১২

গরিবি হটাও


২০১১-১১-১৪

১৯৫৮ সালের কথা। জন কেনেথ গালব্রেথ একটি বই লিখেন। বইটির নাম, The Affluent Society. গালব্রেথ ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির একজন নামকরা অধ্যাপক। তিনি তার বইটির জন্য সে সময় পেয়েছিলেন বিশ্বজোড়া খ্যাতি। বইটির প্রতিপাদ্য ছিল, এতকাল অর্থনীতির বিষয় ছিল অভাব নিয়ে আলোচনা। কিন' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন আর অভাবের সমস্যা (Scarcity) নেই। সেখানে সমস্যা হতে পারে প্রাচুর্য (Affluence) নিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়ে উঠেছে প্রাচুর্যের দেশ। এই প্রাচুর্যকে কাজে লাগাতে হবে সুন্দর শহর ও পার্ক গড়ার কাজে। কাজে লাগাতে হবে সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ও মানুষকে সুশিক্ষিত করে তোলার জন্য। আগামী দিনে মার্কিন অর্থনীতির লক্ষ্য হতে হবে সে দেশের মানুষের মানসিক উন্নয়ন এবং শিল্পীমনের বিকাশ। যা চারুতা আনবে মার্কিন সমাজজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। আর এক কথায় অর্থনীতির লক্ষ্য আর থাকা উচিত হবে না বস'গত বৈভব বাড়ানো। তার লক্ষ্য হতে হবে জীবনের সর্বক্ষেত্রে নান্দনিকতা বাড়ানো। বইটি প্রকাশের পর ৫৩ বছর গত হয়েছে। এখন আমরা শুনতে পাচ্ছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যের সমস্যা বিলুপ্ত হয়নি। অভাব সে দেশেও আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেকার। তার অর্থনৈতিক জীবনে দেখা দিয়েছে মন্দা। আওয়াজ উঠেছে ওয়াল স্ট্রিট দখল করো। সারা বিশ্বের মানুষ সমর্থন দিচ্ছে এই আন্দোলনকে। আমাদের দেশেও কিছু বাম বুদ্ধিজীবী সমর্থন দিচ্ছেন ওয়াল স্ট্রিট দখলের আন্দোলনকে। কিন' এ ক্ষেত্রে একটি কথা উপলব্ধি করতে হবে; তা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছে যথেষ্ট প্রাকৃতিক সম্পদ। আছে এই প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জাম, কলকারখানা এবং কাজ জানা মানুষ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতিতে সমস্যার কারণ হলো আর্থিক বৈষম্য। কিন' আমাদের মতো দেশে অভাবের কারণ হলো প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন যথেষ্ট না হওয়া।
অর্থাৎ আমাদের অর্থনীতির সমস্যা কেবল ধন বণ্টনের নয়, ধন উৎপাদনেরও। এখানে মাথাপিছু আয় কম হওয়ার কারণ হলো ধনের অভাব। আয় বাড়াতে গেলে বাড়াতে হবে ধন উৎপাদন। কেবল সমাজব্যবস'ার পরিবর্তন ঘটিয়ে আমাদের আয়-বৈষম্য ঘোচানো সম্ভব নয়। ভোগ পরিকল্পনার সাথে সাথে থাকতে হবে উৎপাদন পরিকল্পনা। উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া আমাদের মতো দেশে দারিদ্র্য দূরীকরণ কোনোমতেই সম্ভব হবে না। গরিবি হটাও এই আওয়াজকে বিশ্লষণ করলে ধরা পড়ে এর মধ্যে আছে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর দর্শন। কিন' অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে হলে মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে। আর সেই আয় হতে হবে বস'গত সম্পদ এবং সেবার সরবরাহ বাড়িয়ে। অন্যভাবে তা সম্ভব হতে পারে না। আমরা এখন বাস করি মুদ্রাপ্রধান অর্থনীতির মধ্যে। জিনিস সেবার লেনদেন হয় মুদ্রার মাধ্যমে। কিন' মুদ্রা নিজে কোনো সম্পদ নয়। মুদ্রা সরবরাহ বাড়িয়ে একটা দেশের সম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা আসলে বাড়ায় দারিদ্র্য। সৃষ্টি করে মুদ্রাস্ফীতির সমস্যা। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর একটি কারণ হলো, দ্রব্য উৎপাদনের সাথে বাজারে মুদ্রা সরবরাহের কোনো সঙ্গতি না থাকা। অর্থনীতির দিক থেকে অনগ্রসর দেশগুলোতে ঘাটতি ব্যয়ের মাধ্যমে চালানো হয় অর্থনৈতিক উন্নয়নপ্রচেষ্টা। কিন' এর ফলে দ্রুত বাড়ে মুদ্রার সরবরাহ। আর এর ফলে বাড়ে সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য ও আয়-বৈষম্য।
মুদ্রার অবগুণ্ঠনের আড়ালে ঢাকা পড়তে চাই একটা দেশের অর্থনৈতিক অবস'ার প্রকৃত চিত্র। বাড়তি নোট ছাপিয়ে কর্মসংস'ান বাড়াতে গিয়ে সরবরাহের তুলনায় চাহিদার মাত্রা বাড়ে। হতে থাকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। অনেক ক্ষেত্রেই তা চলে যায় সাধারণ শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। অর্থনৈতিক দিক থেকে অনগ্রসর অনেক দেশের রাজনীতিবিদেরা দেশের মানুষকে চমক দেখান এমন কিছু করে, যা আসলে মানুষের কাজে আসে না। যেমন বড় বড় রাস-াঘাট নির্মাণ। এ রকম বাগাড়ম্বরপূর্ণ ভোগ (Public Conspicuous Expenditure) একটা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে আসে না। কারণ তা বস'গত সম্পদ ও প্রয়োজনীয় সেবা যেমন শিক্ষা ও চিকিৎসার প্রয়োজন পূরণ করে না। রাজনীতিকেরা চমক দেখাতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই করছেন জনস্বার্থের ক্ষতি। এর ফলে কৃষিভূমির হচ্ছে অপচয়। কমছে অনেক দেশেই কৃষি উৎপাদন। কিছু দিন আগে আমাদের দেশে কিছু কথিত বাম নেতাকে বলতে শোনা যেত ‘তুমি খাবে, আমি খাবো না; তা হবে না তা হবে না।’ কিন' সবাইকে খেতে দিতে হলে বাড়াতে হবে খাদ্য উৎপাদন। একজনের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে আর একজনকে দিলে তা পারবে না ক্ষুধা সমস্যার সমাধান করতে। একটা স'ূল উদাহরণ দেয়া যেতে পারে : ঢাকায় অনেক মহল্লায় পানীয় পানি সরবরাহ যথেষ্ট নয়। পানির অভাব প্রতিদিন সেখানে সৃষ্টি করছে কলহ। এই কলহ দূর করতে গেলে অবশ্যই বাড়াতে হবে পানির সরবরাহ। এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারছে পানির অভাব থেকে। পানির বণ্টনব্যবস'ার অব্যবস'া থেকে নয়। যদিও পানিবণ্টনের অব্যবস'া হতে পারে এর কিছুটা কারণ। কিন' এ সমস্যার সমাধান করতে গেলে পানি সরবরাহ বাড়াতেই হবে। বাম বুদ্ধিজীবীরা কথায় কথায় বলেন, শ্রেণী সংগ্রামের কথা। কিন' তাদের দু’জন গুরু, কার্ল মার্কস ও ফেডরিক অ্যাঙ্গেল তাদের রচিত কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোতে (১৮৪৮ খ্রি:) যেমন বলেছে, শ্রেণী সংগ্রামের কথা, সেই সাথে আবার বলেছে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর কথাও। কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টোতে বলা হয়েছে, সব পতিত জমিকে আনতে হবে চাষের আওতায়। করতে হবে জমির উর্বরতার বাড়ানোর সব ধরনের চেষ্টা। তারা তাদের ম্যানিফেস্টোতে বলেছেন, শিক্ষাকে হতে হবে সার্বজনীন এবং অবৈতনিক। যাতে বাড়ে সাধারণভাবে মানুষের চিন-াশক্তি। তার ধন-বৈষম্য কমিয়ে আনার জন্য আয়ের ওপর বসাতে বলেছেন প্রগতিশীল হারে আয়কর আরোপ করতে। বলেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে উৎপাদনের জন্য ঋণ দিতে।
কেবলই শ্রেণী সংগ্রামের ভিত্তিতে আন্দোলন করতে নয়। তারা বলেছেন, কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়তে। গ্রাম ও শহরের মানুষের আয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনতে। অনেকের ধারণা কার্ল মার্কস ছিলেন গণতান্ত্রিক চিন্তাচেতনার বিরোধী। কিন' তিনি ১৮৪৮ সালে সমর্থন করেন বিলাতের চার্টিস্ট (Chartist) আন্দোলনকে। বিলাতে চার্টিস্টরা চেয়েছিলেন সব প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ মানুষের জন্য ভোটাধিকার। গোপনে ভোট দেয়ার অধিকার, পার্লামেন্টে সদস্য হওয়ার জন্য নির্দিষ্টমানের সম্পত্তি থাকার বিধানের বিলুপ্তি, নির্বাচিত এলাকা মোটামুটি সমানভাবে নির্দিষ্টভাবে বিভক্ত করা এবং পার্লামেন্টের সদস্যের জন্য বেতনের ব্যবস'া করা ও প্রতি বছর অন-ত একবার করে পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকা। কার্ল মার্কস বলেছেন, চার্টিস্ট আন্দোলনের ফলে বিলাতে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তার মাধ্যমে একদিন ধনসাম্যের প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতে পারবে। কার্ল মার্কস কেবলই রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মাধ্যমে ধনসাম্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে বলেননি। বলেননি ধনসাম্যের প্রতিষ্ঠার জন্য একদলীয় শাসনব্যবস'া প্রতিষ্ঠার কথা। তবে তার অনুসারক বলে পরিচিত অনেকেই করেছেন গণতন্ত্রের বিরোধিতা। কার্ল মার্কসের নামে ১৯১৭ সালে নভেম্বর মাসে ক্ষমতায় আসেন কমিউনিস্টরা। সে দেশে ঘটানো হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস'া প্রতিষ্ঠার সব আয়োজনের পরিসমাপ্তি। কিন' একটানা ৭৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর রাশিয়ায় ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে কমিউনিস্ট পার্টি হারিয়েছে ক্ষমতা। মানুষ সে দেশে চাচ্ছে গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের সমস্যার সমাধান। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, একটানা ৭৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও রাশিয়ায় দারিদ্র্য বিমোচন করতে পারেনি। বহু লোক সে দেশে বাস করছেন দারিদ্র্যসীমার নিচে। বাম রাজনৈতিকেরা বলেন, তারা হলেন ‘ত্যাগী’ কিন' অন্যরা হলেন ‘ভোগী’। একমাত্র বামরাই পারেন একটা দেশের দারিদ্র্য বিমোচন করতে। কিন' রুশ বিপ্লবের ইতিহাস তাদের এই দাবিকে মিথ্যা প্রমাণই করছে। আমাদের দেশে বামপন'ীরা দাবি করছেন কেবল তারাই পারেন এ দেশকে দারিদ্র্য বিমুক্ত করতে। কিন' তাদের এই দাবিকে মেনে নেয়ার কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে বলে আর মনে হয় না। রাশিয়ার ইতিহাস বাম দাবিকে মিথ্যা বলেই প্রমাণিত করছে। কমিউনিস্টরা ছাড়াও দারিদ্র্য বিমোচনের কথা ভেবেছেন অন্য সমাজ চিন্তাবিদেরাও। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে ফরাসি অ্যানারকিস্ট পিয়ের জোসেপ প্রুদঁকে (১৮০৯-১৮৬৫)। প্রুদঁ মনে করতেন ছোটখাটো সম্পত্তি রাখতে হবে ব্যক্তিগত মালিকানায়। সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়া ঠিক হবে না। কারণ রাষ্ট্র পরিচালনা করে মানুষই। সব সম্পত্তি রাষ্ট্রের হাতে তুলে দিলে মানুষ হারাবে তার রাজনৈতিক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা। প্রতিষ্ঠা পাবে রাষ্ট্রিক দাসত্ব। প্রুদঁ মনে করতেন মুদ্রার মাধ্যমে বিনিময়ব্যবস'া রদ করতে হবে। তার স'লে প্রতিষ্ঠা করতে হবে দ্রব্য বিনিময়ব্যবস'া। যাতে মানুষ বুঝতে সক্ষম হবে একটা দেশের প্রকৃত অর্থনীতির অবস'া সম্পর্কে। তিনি আরো বলেন, সব ধরনের সুদের কারবার বন্ধ করতে হবে। টাকা খাটিয়ে সুদ নেয়ার ব্যবস'া মানুষকে অন্যের শ্রমের ফসল ভোগ করার অধিকার দেয়। অর্থনীতির ক্ষেত্রে সৃষ্টি করে বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেণীর যা সমাজে ঘটায় বিশেষভাবেই আয়-বৈষম্য। আর এক কথায় ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান। প্রুদঁর মতে, আদর্শ সমাজজীবন হতে হবে গণতান্ত্রিক এবং ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র সম্পত্তিভিত্তিক। তাহলে ঘুচবে মানুষে মানুষে আয়-বৈষম্য। প্রুদঁ অর্থনীতির ক্ষেত্রে সমবায় ব্যবস'ার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। আর এই সমবায়ব্যবস'া বিশেষভাবেই হতে হবে ঐচ্ছিক।
এক কালের মার্কসবাদী বিপ্লবী ও পরবর্তীকালের মানবতন্ত্রী মানবেন্দ্রনাথ রায়ের (১৮৯৩-১৯৫৪) মতে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জোর দিতে হবে কৃষিকর্মের ওপর। তার মতে, আমাদের মতো কৃষিপ্রধান দেশে কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে ঘটাতে হবে কৃষকের ক্রয়ক্ষমতা। এর ফলে সৃষ্টি হতে পারবে শিল্পদ্রব্যের চাহিদা। আর তাই হতে পারবে কলকারখানার অর্থনীতির সমপ্রসারণ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন-রীণ বাজারের ওপর দিতে হবে অধিক গুরুত্ব। রফতানিনির্ভর বাণিজ্যের ওপর নয়। কৃষকের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ঐচ্ছিকভাবে সমবায়ভিত্তিক কৃষি অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে। সাধারণভাবে দেশের অর্থনীতির কাঠামোকে হতে হবে সমবায়ভিত্তিক। রায় এসব কথা বলেন তার জীবনের শেষ ভাগে এসে। এখন আবার নতুন করে বলা হচ্ছে গরিবি হটাওয়ের কথা। কিন' গরিবি হটাওয়ের কথা উঠেছে অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফরাসি বিপ্লবের মাধ্যমে। মানুষ চেয়েছে সাম্য মৈত্রী আর স্বাধীনতা, যা মানবসমাজে এখনো সেভাবে রূপায়িত হতে পারেনি, যা এখনো হয়ে আছে আদর্শেরই বিষয়। ধর্ম মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে চেয়েছে। মানুষকে বলেছে অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতে। অনাড়ম্বর জীবনযাপন মানুষকে করে তুলবে সমতাবাদী। স্বেচ্ছায় দারিদ্র্য বরণ হয়ে উঠবে দারিদ্র্য মোচনের উপায়। ইসলাম ধর্মে মানুষকে বলা হয়েছে অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতে। সুদ গ্রহণ ইসলামে নিষিদ্ধ। ইসলামে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, দানধ্যানের ওপর। আমাদের সময় অনেক ইসলামি চিন-াবিদ চাচ্ছেন ইসলামি অর্থনীতির প্রবর্তন। অর্থাৎ তারাও চাচ্ছেন গরিবি হটাতে। মানুষে মানুষে আয়-বৈষম্য কমাতে। আমাদের দেশে তথাকথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা ইসলামি মৌলবাদের ভয়ে ভীত। কিন' ইসলামের অন্যতম মূল লক্ষ হলো দারিদ্র্য বিমোচন। আর এক কথায় গরিবি হটাও।
লেখক : প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন