বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১২

প্রসঙ্গ আলবার্ট আইনস্টাইন


২০১২-০১-০৯

সাংবাদিকের অন্যতম কাজ প্রতিদিনের কোলাহলকে দৈনিক পত্রিকার পাতায় বহন করে আনা। আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজে এখন যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এবং যা নিয়ে চলেছে যথেষ্ট শোরগোল। আমি চেয়েছিলাম নয়া দিগনে-র পাঠকদের কাছে তা বহন করে আনতে (নয়া দিগন- ২১ নভেম্বর, ২০১১)। আমি ভাবিনি ড. এস এম লুৎফর রহমানের মতো কোনো প্রাজ্ঞ ব্যক্তি আমার লেখার প্রতিবাদ করবে (নয়া দিগন- ৩ জানুয়ারি, ২০১২)। আমি বর্তমান সপ্তাহে নয়া দিগনে- কলাম লিখতে চেয়েছিলাম অন্য এক বিষয়ে। কিন' আমার সেই পরিকল্পনা স'গিত রেখে আইনস্টাইন সম্পর্কে করতে চলেছি আরো কিছু আলোচনা। আইনস্টাইন নিয়ে আলোচনা করতে হলে নিউটনের কথা আসে। কিন' আইনস্টাইন সত্য হলে নিউটন অনেক ক্ষেত্রে অনেক পরিমাণে বাতিল হয়েই যান। অষ্টাদশ শতাব্দীতে বিলাতের কবি আলেকজান্ডার পোপ লিখেছিলেন-
Nature and nature’s laws hid in night:
God said, ‘Let Newton be!’ and all was light.
কিন' এখন আর এ কথা বলা চলে না। তবে মনে হচ্ছে আলবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব বাতিল হলে আমরা আবার ফিরব কিছুটা নিউটনেরই দিকে। ড. রহমান বলছেন, আমি আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছি। কিন' আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্ব সম্পর্কে কিছু আলোচনা করিনি। আমি এটা ইচ্ছা করেই করিনি। কারণ, সাধারণ অপেক্ষিক তত্ত্ব আমি কখনোই বুঝে উঠতে পারিনি। আর যা বুঝে উঠতে পারিনি তা নিয়ে আলোচনা আমার জন্য মোটেও সহজসাধ্য নয়। সমুদ্রে প্রতিদিন দু’বার জোয়ার-ভাটা আসে। নিউটন একে ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন প্রধানত চাঁদের আকর্ষণের মাধ্যমে। আমরা ছাত্রদের এখনো পড়াই নিউটনের দেয়া জোয়ার-ভাটার ব্যাখ্যা। কিন' আইনস্টাইনের সাধারণ অপেক্ষিক তত্ত্বে বলা হয়, নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্ব সত্য নয়। চাঁদের টানের ধারণাটা একটা বিভ্রানি- মাত্র। আমার কাছে মনে হয় আইনস্টাইনের বক্তব্য এ ক্ষেত্রে বোঝা খুবই কঠিন। অবশ্য আমার কাছে কোনো কিছু বোঝা কঠিন হলে যে তাকে মিথ্যা বলতে হবে এমন দাবি আমি করছি না। তবে আইনস্টাইনের সাধারণ অপেক্ষিক তত্ত্ব এখনো বৈজ্ঞানিক সমাজে সেভাবে স্বীকৃত নয়। এটা জানতে পারি অনেক বিশেষজ্ঞের লেখার মাধ্যমে। পরমাণু বিজ্ঞানে পরমাণুর গঠন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলা হয় তা কতকটা সৌরজগতের মতো। সৌরজগতে গ্রহরা প্রদক্ষিণ করছে সূর্যকে। আর পরমাণুর ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রন কণিকারা প্রদক্ষিণ করে পরমাণু কেন্দ্রকে। পরমাণু কেন্দ্র দু’রকম কণিকা দিয়ে গঠিত। একধরনের কণিকাকে বলা হয় প্রোটন। এরা পজিটিভ তড়িৎযুক্ত। আর এক কণিকাকে বলা হয় নিউট্রন। এরা তড়িৎশূন্য। ইলেক্ট্রন কণিকারা নেগেটিভ তড়িৎযুক্ত। এরা পজিটিভ তড়িৎযুক্ত পরমাণু কেন্দ্রের চার দিকে ঘুরছে পজিটিভ ও নেগেটিভ তড়িতের আকর্ষণের কারণে। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বে পজিটিভ ও নেগেটিভ বিদ্যুতের আর্কষণের কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না লোহা ও চৌম্বকের আকর্ষণের। আইনস্টাইনের সাধারণ অপেক্ষিক তত্ত্ব থেকে গিয়েছে অসম্পূর্ণ। পক্ষান-রে আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব বৈজ্ঞানিক সমাজে পেতে পেরেছে বিশেষ স্বীকৃতি। কিন' মনে হচ্ছে তার বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব মিথ্যা প্রমাণিত হবে। মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এমন নয়। ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রনের মতো নিউট্রিনো হলো একধরনের মৌল বস' কণিকা। নিউট্রিনোরা কতকটা নিউট্রনের মতো। কিন' এরা নিউট্রন থেকে অনেক ছোট। নিউট্রনের মতো এরা তড়িৎবিহীন। তাই এদের নাম দেয়া হয়েছিল নিউট্রিনো। আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বানুসারে কোনো কিছুর গতিবেগ আলোর গতিবেগের চেয়ে বেশি হতে পারে না। কিন' কিছু বৈজ্ঞানিক সমপ্রতি (সেপ্টেম্বর ২০১১) দাবি করেছেন, নিউট্রিনোদের গতিবেগ হতে পারে আলোর গতিবেগের চেয়ে বেশি। আরো গবেষণার মাধ্যমে যদি এসব বিজ্ঞানকর্মীদের দাবি যথার্থ বলে প্রমাণিত হয় তবে আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব বাতিল হয়ে যাবে। তাকে ধরে রাখা সম্ভব হবে না। আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের যথার্থতা নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন উঠেছে। আইনস্টাইন মারা যান ১৯৫৫ সালে। ১৯৬০-এর দশকে জ্যোতির্বিদেরা এমন কিছু জ্যোতিষ্কের সন্ধান পান, যাদের তারা নাম দেন কোয়াসার। এরা কতকটা নক্ষত্রের মতো। কিন' অন্য নক্ষত্রের তুলনায় এরা আকৃতিতে অনেক ছোট। কিন' এরা অন্য নক্ষত্রের তুলনায় খুবই দীপ্তিমান। এদের এই দীপ্তিকে আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায় না। আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের সমীকরণ অনুসারে বস' থেকে শক্তির উদ্ভব হওয়া সম্ভব। কিন' এদের ক্ষেত্রে এত আলোকশক্তির উদ্ভব কিভাবে হতে পারছে সেটার ব্যাখ্যা দেয়া এখনো সম্ভব হয়নি। তড়িৎ-চুম্বক শক্তির ব্যাখ্যা দেয়া যায় না আইনস্টাইনের তত্ত্বের সাহায্যে। আইনস্টাইনের তত্ত্বের সাহায্যে ব্যাখ্যা দেয়া যায় না কোয়াসারদের দীপ্তির। আর এখন প্রশ্ন উঠছে নিউট্রিনোদের গতিবেগ নিয়ে। আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব হয়ে উঠছে খুবই প্রশ্ন সাপেক্ষ। আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্ব না টিকলে তার সাধারণ আপেক্ষিক তত্ত্বও যে টিকবে, এমন আশা করা যায় না। আমি তাই বুঝতে সক্ষম হচ্ছি না যে, ড. এস এম লুৎফর রহমান কী করে দাবি করতে পারছেন যে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব কখনো মিথ্যা হওয়ার নয়। আমি আমার আলোচনায় বলেছিলাম, বৈজ্ঞানিক কোনো তত্ত্বের গ্রহণযোগ্যতা শেষ পর্যন- নির্ভর করে পরীক্ষামূলক প্রমাণের ওপর। কোনো গাণিতিক ধারণা দিয়ে শেষ পর্যন- কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের প্রমাণ করা চলে না। ড. রহমান এ ক্ষেত্রে আমার সাথে একমত নন। তিনি মনে করেন, গাণিতিক ধারণার একটা বিশেষ মূল্য আছে। আমি গাণিতিক বিশ্লেষণের মূল্য স্বীকার করি। কিন' মনে করি, পরীক্ষামূলক প্রমাণই হলো বিজ্ঞানের শেষ ভিত্তি। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেক তত্ত্বের উদ্ভব হয়েছে, যা এখন আর স্বীকৃত নয়। কারণ নতুন তথ্য তাদের মিথ্যা প্রমাণ করেছে। আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে অনুরূপ ঘটনা। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।
ব্যক্তি আইনস্টাইনকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে অনেক রূপকথা। অনেকের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন অতিমানব বা সুপারম্যান। কিন' তাকে অতিমানব ভাবার কোনো কারণ আছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ আইনস্টাইনের মৃত্যুর পর তার মগজ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছিল কিছু গবেষণা। এতে দেখা যায় যে, আইনস্টাইনের মগজের গড়ন আর সব সাধারণ মানুষেরই মতো। তার মগজ কোনো বিশেষ গঠনসম্পন্ন নয়। যা থেকে বলা যায় তার মগজ ছিল আমাদের মতো মানুষের থেকে গুণগতভাবেই আলাদা। একটা হিসাব অনুসারে মানুষের মগজে থাকে ২০০ কোটি স্নায়ুকোষ। কিন' এদের সবাই সক্রিয় থাকে না। প্রতিভাবান ব্যক্তি তারাই, যাদের মসি-ষ্কে অধিকসংখ্যক স্নায়ুকোষ সক্রিয় থাকে এবং কোনো বিশেষ চিন-াপ্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। মানুষ চেষ্টার মাধ্যমে তার চিন-াশক্তিকে বাড়াতে পারে। সক্রিয় করে তুলতে পারে মসি-ষ্কের অধিকসংখ্যক স্নায়ুকোষকে। তাই আছে বুদ্ধি চর্চার একটা বিশেষ মূল্য। আমাদের চিন-াক্ষমতা, আমাদের অর্জিত জ্ঞানের ওপরও নির্ভর করে। মানুষে মানুষে চিন-ার পার্থক্য হতে দেখা যায়। এর একটা কারণ হলো জ্ঞানের পার্থক্য। আমাদের জ্ঞান আবার শেষ পর্ষন- নির্ভর করে আমাদের অভিজ্ঞতার ওপর। আমাদের জ্ঞান অভিজ্ঞতানির্ভর। সবার জীবনের অভিজ্ঞতা এক নয়। সবার চিন-া-চেতনা তাই ঠিক একই খাতে প্রবহমান হয় না। দেখা দেয় মতবাদিক বিরোধ। বৈজ্ঞানিকদের মধ্যেও একইভাবে মতবাদিক বিরোধের সৃষ্টি হতে পারে। আইনস্টাইনের সাথে সব বৈজ্ঞানিকের ঐকমত্য হতে পারেনি। তবে যেহেতু পরীক্ষা-প্রমাণ আইনস্টাইনের পক্ষে গিয়েছে, তাই আইনস্টাইন পেতে পেরেছেন বিশেষ স্বীকৃতি। এখন যদি পরীক্ষা-প্রমাণ তার মতের পরিপন'ী হয়, তবে তা নিশ্চয় হারাবে গ্রহণযোগ্যতা। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিকের খ্যাতি দিয়ে সত্য নির্মিত হয় না। আইনস্টাইন সম্পর্কে তার জীবনীকাররা আগে যা বলতেন, এখন আর তা বলছেন না। আইনস্টাইন জীবনে দু’বার বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথমা স্ত্রী ছিলেন সারবিয়ান মেয়ে। তিনি জার্মান ছিলেন না। ধর্মে তিনি ছিলেন না আইনস্টাইনের মতো ইহুদি। তিনি সুইজারল্যান্ডে ছিলেন আইনস্টাইনের সতীর্থ। আইনস্টাইন ছাত্রজীবনেই তাকে বিয়ে করেন। এই মহিলার ছিল অসাধারণ গাণিতিক প্রতিভা। কারো কারো মতে এই মহিলার কাছ থেকেই আইনস্টাইন লাভ করেন তার বিশেষ আপেক্ষিক তত্ত্বের কাঠামো। কিন' আইনস্টাইন কোনো দিনই স্বীকার করেননি তার চিন-ার মূলে স্ত্রীর অবদান। তার এই স্ত্রীর গর্ভে আইনস্টাইনের দুই পুত্রের জন্ম হয়। আইনস্টাইন তার এই স্ত্রীকে তালাক দেন অত্যন- অকারণে। বিয়ে বিচ্ছেদের পর তার সাবেক স্ত্রী পড়েন বিরাট বিপর্যয়েরই মধ্যে। সাবেক স্ত্রীর বৈজ্ঞানিক চিন-া-চেতনার বিকাশে আসে ছেদ। তিনি গ্রহণ করেন সুইজারল্যান্ডে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি। অনেক কষ্টের মধ্যে মানুষ করেন তার দুই পুত্রকে। আইনস্টাইনের সাবেক স্ত্রী নেননি আইনস্টাইনের কাছ থেকে তার পুত্রদের ভরণ-পোষণের জন্য কোনো আর্থিক সাহায্য। আইনস্টাইন যাকে পরে বিয়ে করেন, তিনি ছিলেন আইনস্টাইনের চাচাতো বোন। তার এই চাচাতো বোনের আগে বিয়ে হয় অন্য এক ব্যক্তির সাথে। যার মৃত্যুর পর তিনি বিয়ে করেন আইনস্টাইনকে। অনেকে বলেন বিয়ের আগেই আইনস্টাইনের সাথে ওই মহিলার নাকি ছিল এক বিশেষ ধরনের সম্পর্ক। আর এই সম্পর্কের কারণেই আইনস্টাইন তালাক দেন তার প্রথম স্ত্রীকে। আইনস্টাইনকে আগে যে রকম নিরীহ ভাবভোলা মানুষ বলে মনে করা হতো, এখন আর তা মনে করা সম্ভব হচ্ছে না। আইনস্টাইন জীবনে রাজনীতিও করেছেন। আইনস্টাইন ছিলেন জিওনিস্ট (Zionist)। আজকের ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল স'াপনে আছে তার অবদান। ইহুদি লবি এখন আইনস্টাইনকে চিত্রিত করতে চাচ্ছেন একজন অতিমানব হিসেবে। জানি না এর একটা প্রভাব এসে পড়েছে কি না ড. রহমানের ওপর। একাধিক বৈজ্ঞানিক বলেছেন, আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব নাকি প্রমাণ করেছে বস'জগৎ বলে কিছু নেই। কিন' প্রশ্ন করা যায়, ইউরোনিয়াম-২৩৫ না থাকলে কি আণবিক বোমা তৈরি হতে পারত? এ কথা ঠিক যে, আণবিক বোমা তৈরি করতে অনেক অঙ্কের হিসাব করতে হয়েছে। কিন' তা বলে ইউরোনিয়াম-২৩৫ নামক ধাতুর অসি-ত্ব মিথ্যা হয়ে যায়নি। ধাতুটি আগেও ছিল। তার অসি-ত্ব ছিল না বৈজ্ঞানিকদের চিন-ানির্ভর। মানুষ প্লুটোনিয়াম দিয়ে পরমাণু বোমা বানায়। প্লুটোনিয়াম তৈরি করা হয় ইউরোনিয়াম-২৩৮ থেকে। ইউরোনিয়াম-২৩৮ ইউরোনিয়াম-২৩৫ থেকে অনেক সহজলভ্য। ইরান ইউরোনিয়াম-২৩৮ থেকে প্লুটোনিয়াম তৈরি করতে চাচ্ছে। কিন' মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল চাচ্ছে এতে বাধা দিতে। প্লুটোনিয়াম কেবলই অঙ্কের একটা হিসাব মাত্র নয়। তার আছে নিজস্ব অসি-ত্ব। ইরান মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে চাচ্ছে না। এর ফলে মার্কিন- ইরান সম্পর্ক হয়ে উঠেছে বিশেষভাবে উত্তপ্ত। আমি জানি না ড. রহমান এ প্রসঙ্গে যথেষ্ট সচেতন কি না। বাংলাদেশের মানুষ ইরানের প্রতি হয়ে উঠেছে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। তবে শোনা যায় ইসরাইলের গোয়েন্দা চক্র বাংলাদেশে সক্রিয় আছে। মুসলিম অধ্যুষিত দেশের মধ্যে একমাত্র পাকিস-ানের হাতেই আছে পরমাণু বোমা।
পাকিস-ানের হাতে পরমাণু বোমা আছে বলেই কারো কারো মতে বাংলাদেশ এখনো তার পৃথক রাষ্ট্রিক অসি-ত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হচ্ছে। না হলে ভারত বাংলাদেশকে এত দিনে গ্রাস করেই ফেলত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পরমাণু বোমা বানাতে সক্ষম হয়। আলবার্ট আইনস্টাইন জার্মানি থেকে পালিয়ে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। গ্রহণ করেন মার্কিন নাগরিকত্ব। আইনস্টাইন তদানীন-ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন দ্য রুজভেল্টকে একটি চিঠি লেখেন। তিনি তার এই চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেন পরমাণু বোমা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে। প্রধানত আইনস্টাইনের চিঠির ওপর নির্ভর করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরমাণু বোমা নির্মাণের জন্যে অর্থ বরাদ্দ করেন। নির্মিত হতে পারে পরমাণু বোমা। আইনস্টাইনকে অনেকে বলেন শানি-বাদী। কিন' আইনস্টাইনের জন্যই হতে পেরেছে ভয়াবহ পারমাণবিক বোমার উদ্ভব।
লেখক : প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন